সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদ সদস্যদের আস্থা ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে একাধিক রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে। বিশেষ করে বি...
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে সংসদ সদস্যদের আস্থা ভোটে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে একাধিক রাজনৈতিক দল একমত পোষণ করেছে। বিশেষ করে বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, সরকার পরিচালনায় স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য এই পরিবর্তন জরুরি। তবে কিছু রাজনৈতিক দল এখনই চূড়ান্ত মত না দিয়ে আরও আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
এই আলোচনাটি আজ মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংস্কার প্রশ্নে দ্বিতীয় পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার লক্ষ্য, আগামী জুলাই মাসে একটি জাতীয় ঐকমত্যের খসড়া সনদ তৈরি করা।
আলোচনার বিষয়বস্তু
আজকের আলোচনায় উঠে আসে—
-
সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদের পরিবর্তন,
-
নারী আসনের সংখ্যা,
-
সংসদীয় স্থায়ী কমিটির নেতৃত্ব, এবং
-
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ ও কার্যপরিধি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, "দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও উপমহাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় আস্থা ভোট ছাড়া সরকার বারবার পরিবর্তিত হবে, যা অনিশ্চয়তা তৈরি করবে।" তিনি আরও বলেন, অর্থবিল ও সংবিধান সংশোধন বাদে অন্যান্য বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত।
এনসিপির পক্ষ থেকে সারোয়ার তুষার বলেন, "সংসদ সদস্যদের স্বাধীন মতামতের প্রয়োজন যেমন আছে, তেমনি সরকারের স্থিতিশীলতার জন্য আস্থা ভোট থাকা অপরিহার্য।"
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি মনে করেন, আস্থা ভোট অন্তর্ভুক্ত না থাকলে প্রধানমন্ত্রী প্রশ্নাতীত থেকে যাবেন, যা গণতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
আরও আলোচনা হবে
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আরও একটি রাউন্ড আলোচনা হবে। তিনি বলেন, "সব পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে কোথায় ঐকমত্য হলো তা নির্ধারণ করতে সময় দিতে হবে।"
উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলো
আজকের বৈঠকে অংশ নিয়েছে ৩০টি রাজনৈতিক দল, যার মধ্যে রয়েছে:
-
বিএনপি, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, এলডিপি, নাগরিক ঐক্য, জাসদ, এনডিএম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, সিপিবি, বাসদ, জাকের পার্টি, লেবার পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, এবং আরও অনেক দল।
উপস্থিত ছিলেন
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ। আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য মো. আয়ুব মিয়া, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, এমদাদুল হক, ইফতেখারুজ্জামান এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (ঐকমত্য) মনির হায়দার।
এই আলোচনাগুলোর মধ্য দিয়ে একটি গঠনমূলক রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া গড়ে ওঠার প্রত্যাশা করা হচ্ছে, যার মাধ্যমে সংবিধানের বিতর্কিত অনুচ্ছেদসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জাতীয় ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"
%20is%20a%20Canadian%20model.jpg)
.jpg)