আবারও সংবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ—এক কলেজছাত্রীকে ডেমরার একটি বাসায় দীর্...
আবারও সংবাদের কেন্দ্রবিন্দুতে কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। এবার তাঁর বিরুদ্ধে উঠেছে গুরুতর অভিযোগ—এক কলেজছাত্রীকে ডেমরার একটি বাসায় দীর্ঘ সাত মাস আটকে রেখে ধর্ষণ ও নির্যাতনের। অভিযোগ পাওয়ার পর সোমবার রাতে ডেমরা থানা পুলিশ তাঁকে আটক করে এবং নির্যাতিত ছাত্রীকে উদ্ধার করে।
নোবেল এক সময় ছিলেন উদীয়মান তারকা। ভারতের কলকাতার জনপ্রিয় সংগীত প্রতিযোগিতা ‘সারেগামাপা’-তে বাংলাদেশের হয়ে অংশ নিয়ে রাতারাতি পরিচিতি পান। কিন্তু খ্যাতির সেই আলো ধীরে ধীরে ঢেকে যেতে থাকে বিতর্কের ছায়ায়। মাদক গ্রহণ, স্ত্রীর প্রতি সহিংসতা, মদ্যপ অবস্থায় কনসার্টে অংশ নেওয়া এবং সামাজিক মাধ্যমে সিনিয়র শিল্পীদের নিয়ে কটাক্ষ—এসব কারণে একাধিকবার সমালোচনার মুখে পড়েন। এমনকি তাকে কারাভোগও করতে হয়েছে কয়েকবার।
গোপালগঞ্জের পরিবহন ব্যবসায়ীর সন্তান মাঈনুল আহসান নোবেল ২০১৯ সালে ভারতের জনপ্রিয় সংগীত রিয়েলিটি শো ‘সারেগামাপা’-তে অংশ নিয়ে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। ভক্তদের প্রত্যাশা ছিল, তিনিই হবেন সেই বছরের বিজয়ী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নোবেলকে তৃতীয় স্থান দেওয়া হয়, যা ঘিরে শুরু হয় বিতর্ক। সেই সময় নোবেল প্রকাশ্যে বলেছিলেন, বিচারকদের তাঁর গান মূল্যায়নের যোগ্যতা নেই—এই মন্তব্যের জেরে জি বাংলা কর্তৃপক্ষ তাঁকে সাসপেন্ড করে। অভিযোগ ওঠে, প্রতিযোগিতা চলাকালেই বিচারক ও অন্যান্য প্রতিযোগীদের প্রতি তাঁর আচরণ ছিল ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অবজ্ঞাসূচক।
নোবেল পড়াশোনা করেন পশ্চিমবঙ্গের কেমব্রিজ স্কুল ও কলেজে, যেখানে তিনি ও ও লেভেল সম্পন্ন করেন। সংগীত ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ব্যক্তিজীবনেও জড়ান একের পর এক বিতর্কে। ২০১৯ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণের মামলা করেন চট্টগ্রামের এক তরুণী, যা দায়ের হয় পাঁচলাইশ থানায়। একই বছরের ১৫ নভেম্বর তিনি বিয়ে করেন সালসাবিল মাহমুদকে। তবে এই সম্পর্কও টেকেনি। পারস্পরিক অভিযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র বাকযুদ্ধ ও অবশেষে বিচ্ছেদ—সবকিছুতেই ছিলেন আলোচনায়।
এরপর ২০২৩ সালের ২০ মে নোবেলকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ জানান, তাঁর স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব বিষয়েই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
২০২৩ সালের ২৭ এপ্রিল, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজের সুবর্ণজয়ন্তীর কনসার্টে মাতাল অবস্থায় মঞ্চে ওঠেন কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন, আচরণ ছিল অনিয়ন্ত্রিত—যা দেখে দর্শকদের কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়, তিনি মদ্যপ অবস্থায় পারফর্ম করছেন। দর্শকদের ক্ষোভ দ্রুত চরমে পৌঁছায়; কেউ কেউ স্টেজের দিকে পানির বোতল ও জুতা ছুড়ে মারেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আয়োজকেরা তড়িঘড়ি করে তাঁকে মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেন।
এ ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন নোবেলের সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। গণমাধ্যমে তিনি বলেন, নোবেলের এমন কাণ্ডে তিনি চরমভাবে হতভম্ব হয়েছেন। তাঁর কথায়, “এই মানুষটাকে আমি আগে চিনতাম না, সে পুরোপুরি বদলে গেছে।”
নেশা থেকে মুক্তি পেতে নোবেল একাধিকবার মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি হন। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর তিনি সংগীতে ফিরবেন বলে ভক্তদের কাছে বারবার আশ্বাসও দিয়েছিলেন। তবে বাস্তবে সেই প্রত্যাবর্তন আর প্রত্যাশা পূরণ হয়নি।
নানা বিতর্কে বারবার আলোচনায় এসেছেন কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেল। জাতীয় সংগীত ও এর রচয়িতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে ফেসবুকে অবমাননাকর মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। এ ছাড়া কিংবদন্তি শিল্পী জেমস সম্পর্কেও আপত্তিকর মন্তব্য করে গণমাধ্যমে শিরোনাম হন।
২০২১ সালের ১ জুন নোবেলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর ২৫(২)/২৯ ধারায় মামলা দায়ের করেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ইথুন বাবু। মামলার মূল অভিযোগ ছিল, নোবেল তার ফেসবুক পেজ ‘নোবেল ম্যান’ থেকে ইথুন বাবুকে চোর বলে অভিহিত করেন। পোস্টে লেখা ছিল, “ইথুন বাবু একটা চোর। অন্যের গান নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছে।” এর আগে ইথুন বাবু হাতিরঝিল থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন এ বিষয়ে।
শুধু শিল্পী ও সঙ্গীতজগতের মানুষদের সঙ্গেই নয়, সাংবাদিকদের সঙ্গেও বিরোধে জড়িয়েছেন নোবেল। ২০২১ সালের ১৭ মে, সময় টিভির বিনোদন সাংবাদিক আল কাছির একটি প্রতিবেদন করলে নোবেল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ফোনে হুমকি দেন। তিনি বলেন, “নোবেলকে তুই চিনিস? নোবেল কী শিল্পী? নোবেল কিন্তু ক্যাডার।” তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তার শ্যালক পরিচয় দিয়ে দাবি করেন, সরকারের একটি গোয়েন্দা সংস্থা ব্যবহার করে ওই সাংবাদিককে বাসা থেকে তুলে আনবেন।
এসব ঘটনায় বারবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন এক সময়ের সম্ভাবনাময় এই সংগীতশিল্পী।
সময় টিভির সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় ২০২১ সালে কলাবাগান থানায় কণ্ঠশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন চ্যানেলটির প্রশাসন ও পরিচালনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী সৈয়দ আসাদুজ্জামান।
জিডির বিষয়টি জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নোবেল প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “কিসের জিডি হইছে? ও জিডি-মিডি দেহে নেব নে।” তার এই মন্তব্য নিয়ে আরও বিতর্ক তৈরি হয়।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় কড়া ভাষায় নিন্দা জানায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এক বিবৃতিতে বলেন, সাংবাদিক আল কাছিরকে অপহরণের হুমকি এবং অশোভন ভাষায় গালিগালাজ করায় নোবেলের আচরণ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভবিষ্যতে এমন আচরণ করলে তাকে পুরোপুরি বয়কট করা হবে বলে সতর্ক করে সংগঠনটি।
ব্যক্তিজীবনেও নানা গুঞ্জনের কেন্দ্রে ছিলেন নোবেল। সালসাবিল মাহমুদের সঙ্গে বিবাহ ও পরে বিচ্ছেদের আগেও এবং পরে বহু নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো সম্পর্কই স্থায়ী হয়নি। ২০২৩ সালের ১৩ এপ্রিল এক সাক্ষাৎকারে নোবেল জানান, আপাতত বিয়েশাদি নিয়ে আর কোনো পরিকল্পনা নেই।
জীবনে একাধিক বিতর্কে জড়ালেও মাঝে মাঝে নিজেকে বদলানোর চেষ্টার কথা জানান নোবেল। তিনি ফেসবুকে অনুশোচনামূলক পোস্ট দেন, মাদকমুক্ত জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি দেন, এমনকি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রেও ভর্তি হন। ২০২৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এক স্ট্যাটাসে লেখেন, “নিজের ওপর ঘৃণা হয়, অনেক কিছু হারিয়েছি।” এতে তার ভক্তরা আশা করেছিলেন, এবার হয়তো নোবেল বদলে যাবেন, স্বাভাবিক জীবনে ফিরবেন। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো পরিবর্তন আর দেখা যায়নি।
২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর, মাঈনুল আহসান নোবেল ফেসবুকে এক নারীকে স্ত্রী পরিচয়ে তিনটি ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করেন। ছবিগুলোর নারী ছিলেন খুলনার বাসিন্দা ও পেশায় ফুড ব্লগার ফারজানা আরশি। পরবর্তীতে জানা যায়, আরশি এর আগে নাদিম আহমেদ নামের আরেকজন ফুড ব্লগারকে বিয়ে করেছিলেন, যাঁর সঙ্গে তাঁর দুই বছরের দাম্পত্য জীবন শেষে বিচ্ছেদ ঘটে। সেই বিচ্ছেদের কিছু সময় পরেই সামাজিক মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে আরশির সঙ্গে নোবেলের সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং বিয়ে হয়।
তবে এই বিয়েও বেশি দিন টেকেনি। বিয়ের এক সপ্তাহের মাথায় নোবেল মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে ভর্তি হন এবং আরশি ফিরে যান খুলনায়। নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে আরশি তখন ফেসবুকে লেখেন, “আমি আমার বাড়ি খুলনায় আছি। না জেনে উল্টাপাল্টা খবর ছড়াবেন না। আজ যদি আমি নাদিমের সঙ্গে সবকিছু গোপনে শেষ করতাম, তাহলে কেউ কিছুই জানত না। আমি কি এতটাই বোকা? আমি জানি নোবেলের পোস্ট থেকে ঝামেলা হবে, কিন্তু আমার এতে কোনো হাত ছিল না।”
নোবেলের এই নতুন বিয়ের খবর প্রকাশ্যে এলে তার সাবেক স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ একটি স্ট্যাটাসে মন্তব্য করেন, “আরশি খুলনার ফুড ব্লগার নাদিম আহমেদের সঙ্গে সাত বছরের প্রেমে ছিলেন এবং ২০২১ সালের শুরুতে বিয়ে করেন। দুই বছর সংসার করার পর, তিনি সব কিছু ফেলে নোবেলের কাছে চলে যান।”
সর্বশেষ, নোবেলকে নিয়ে নতুন করে আলোচনার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওকে কেন্দ্র করে। সেখানে দেখা যায়, তিনি এক নারীকে সিঁড়ি দিয়ে টেনে নামিয়ে নিচ্ছেন। ভিডিও দেখে মেয়েটির মা-বাবা তাঁকে শনাক্ত করে ‘৯৯৯’ নম্বরে ফোন করেন। এরপর ১৯ মে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ডেমরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
ডেমরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, গত বছরের নভেম্বরে গুলশানে দেখা করার নামে মেয়েটিকে ডেকে নেন নোবেল এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁকে ডেমরার একটি বাসায় আটকে রাখেন প্রায় সাত মাস। এ সময় নিয়মিত ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি নোবেল এসব ঘটনা নিজের মোবাইল ফোনে ভিডিও করে রাখেন। পুলিশ জানায়, সেই ভিডিও ব্যবহার করে নোবেল মেয়েটিকে ব্ল্যাকমেইল করতেন।
১৯ মে রাতের দিকে ডেমরা এলাকা থেকে সংগীতশিল্পী মাঈনুল আহসান নোবেলকে আটক করে পুলিশ। ডেমরা থানার ওসি মাহমুদুর রহমান জানান, পুলিশের উপস্থিতি আঁচ করতে পেরে নোবেল দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি নাকি একটি মাইক্রোবাস ভাড়া করে সীমান্ত পথে পালানোর চেষ্টা করছিলেন, তবে তার আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের পাশাপাশি পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করতেন নোবেল। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।
অন্যদিকে, নোবেলের পক্ষে আইনজীবী মো. জসিমউদ্দীন **প্রথম আলো**কে জানান, মামলায় যে ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, তা সাত মাস আগের। তাঁর দাবি, মামলার বাদী আসলে নোবেলের বৈধ স্ত্রী, যাঁর সঙ্গে গত বছরের ২৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। ওই নারী বর্তমানে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। পারিবারিক কিছু মনোমালিন্য থেকেই এই মামলা করা হয়ে থাকতে পারে বলে জানান তিনি। আসামিপক্ষের বক্তব্য, তারা একসঙ্গে সংসার করতে চান এবং আপসের ভিত্তিতে জামিন পেলে আপত্তি নেই।
এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, শুধু শিল্পী নোবেল নয়, প্রত্যেক মানুষেরই একটি শৃঙ্খলিত জীবনযাপন করা জরুরি। তাঁর মতে, মাদক একে একে প্রতিভাকে ধ্বংস করে এবং সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত রাত জাগা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অপব্যবহার এবং মাদক গ্রহণ—সবকিছু মিলে মানসিক স্বাস্থ্যে ভয়াবহ প্রভাব ফেলে। ডা. হেলাল আরও বলেন, সময়মতো ঘুম ও কাজের অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নিয়ম না মানলে জীবনে বড় বিপদ ঘটতে পারে। পারিবারিক ও সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোয় অংশগ্রহণ এবং ঘনিষ্ঠ মানুষের দায়িত্বশীল আচরণকে মানসিক সুস্থতার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ বলে মনে করেন তিনি। তাঁর মতে, মানুষের সামাজিক দক্ষতা বাড়ানো এবং সমাজমুখী আচরণ গড়ে তোলার দিকেও মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।
সবার আগে পেতে Follow করুন:
" আঁধার আলো নিউজ গুগল নিউজ"
" আঁধার আলো নিউজ টুইটার "
" আঁধার আলো নিউজ ফেসবুক"
"আঁধার আলো নিউজ পিন্টারেস্ট ;
" আঁধার আলো নিউজ ইউটিউব চ্যানেলে"
" আঁধার আলো নিউজ লিংকডইন "